শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২০

General Science Class-8

 

Classification of animals

Class-8 Science

১. পর্ব: পরিফেরা (Porifera)
স্বভাব ও বাসস্থান:- পরিফেরা পর্বের প্রাণীরা সাধারণভাবে স্পঞ্জ নামে পরিচিত। পৃথিবীর সর্বত্রই এদের পাওয়া যায়। এদের অধিকাংশ প্রজাতি সামুদ্রিক। তবে কিছু কিছু প্রাণী স্বাদু পানিতে বাস করে। এরা সাধারণত দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• সরলতম বহুকোষী প্রাণী। • দেহপ্রাচীর অসংখ্য হিলযুক্ত। এই লিপথে পানির সাথে অক্সিজেন ও খাদাকছু প্রবেশ করে। • কোনাে পৃথক সুগঠিত কলা, অঙ্গ ও তন্ত্র থাকে না।
উদাহরণ : Sparagilla, Scypha
২.পর্ব: নিডারিয়া (Cnidaria)
এই পর্ব ইতােপূর্বে সিলেন্টারেটা নামে পরিচিত ছিল।
স্বভাব ও বাসস্থান:- পৃথিবীর প্রায় সকল অঞ্চলে এই পর্বের প্রাণী দেখা যায়। এদের অধিকাংশ প্রজাতি সামুদ্রিক। তবে অনেক প্রজাতি খাল, বিল, নদী, হ্রদ, ঝরনা ইত্যাদিতে দেখা যায়। এই পর্বের প্রাণীগুলাে বিচিত্র বর্ণ ও আকার-আকৃতির হয়। এদের কিছু প্রজাতি এককভাবে আবার কিছু প্রজাতি দলবদ্ধভাবে কলােনি গঠন করে বাস করে। এরা সাধারণত পানিতে ভাসমান কাঠ, পাতা বা অন্য কোনাে কিছুর সঙ্গে দেহকে আটকে রেখে বা মুক্তভাবে সাঁতার কাটে
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• দেহ দুটি ভ্ৰণীয় কোষতর দ্বারা গঠিত। দেহের বাইরের দিকের স্তরটি এক্টোডার্ম এবং ভিতরের স্তরটি এন্ডােডার্ম। • দেহ গহবরকে সিলেন্টেরন বলে। এটা একাধারে পরিপাক ও সংবহনে • এক্টোডার্মে নিডােব্লাস্ট নামে এক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ থাকে। এই কোষগুলাে শিকার ধরা, আত্মরক্ষা, চলন ইত্যাদি কাজে অংশ নেয়।
৩. পর্ব: প্লাটিহেলমিনথেস (Platyhelminthes)
স্বভাব ও বাসস্থান:- এই পর্বের প্রাণীদের জীবনযাত্রা বেশ বৈচিত্র্যময়। এই পর্বের বহু প্রজাতি বহিঃপরজীবী বা অন্তঃজীবী হিসেবে অন্য জীবদেহের বাইরে বা ভিতরে বসবাস করে। তবে কিছু প্রজাতি মুক্তজীবী হিসেবে স্বাদু পানিতে আবার কিছু প্রজাতি লবণাক্ত পানিতে বাস করে। এই পৰ্ব্বে কোনাে কোনাে প্রাণী ভেজা ও সেঁতসেঁতে মাটিতে বাস করে।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• দেহ, চ্যাপ্টা, উভলিঙ্গ। • বহিঃপরজীবী বা অন্তরজীবী। • দেহ পুরু কিউটিকল দ্বারা আবৃত। • দেহে চোষক ও আংটা থাকে। • দেহে শিখা অঙ্গ নামে বিশেষ অঙ্গ থাকে, এগুলাে রেচন অঙ্গ হিসেবে কাজ করে। • পৌষ্টিকতন্ত্র অসম্পূর্ণ বা অনুপস্থিত।
উদাহরণ : যকৃৎ কৃমি, ফিতা কৃমি
৪. পর্ব: নেমাটোডা (Nematoda)
অনেকে একে নেমাথেলমিনথেস বলে।
স্বভাব ও বাসস্থান:- এই পর্বের অনেক প্রাণী অন্তঃপরজীবী হিসেবে প্রাণীর অন্ত্র ও রক্তে বসবাস করে। এসব প্রজীবী বিভিন্ন প্রাণী ও মানবদেহে বাস করে নানারকম ক্ষতি সাধন করে। তবে অনেক প্রাণীই মুক্তজীবী,যারা পানি ও মাটিতে বাস করে।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• দেহ নলাকার ও পুর ত্বক দ্বারা আবৃত। • পৌষ্টিকনালি সম্পূর্ণ, মুখ ও পায়ু ছিদ্র উপস্থিত। • শ্বসনতন্ত্র ও সংবহনতন্ত্র অনুপস্থিত। • সাধারণত একলিশ। • দেহ গম্বর অনাবৃত ও প্রকৃত সিলােম নাই।
উদাহরণ : গােলকৃমি, ফাইলেরিয়া কৃমি
৫. পর্ব: অনেলিডা(Annelida)
স্বভাব ও বাসস্থান: পৃথিবীর প্রায় সকল নাতিশীতােষ্ণ ও উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে এই পর্বে প্রাণীদের পাওয়া যায়। এদের বন্ধু প্রজাতি স্বাদু পানিতে এবং কিছু প্রজাতি অগভীর সমূহ বাস কত্রে। এই পর্বের বহু প্রাণী সেঁতসেঁতে মাটিতে বসবাস করে। কিছু প্রজাতি পাথর ও মাটিতে গর্ত খুঁড়ে কসবাস করে।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• দেহ নলাকার ও থায়িত। • নেফ্রিডিয়া নামক রেচন অঙ্গ থাকে। • প্রতিটি খন্ডে সিটা থাকে (জোঁকে থাকে না। সিটা চলাচলে সহায়তা করে।
উদাহরণ । কেঁচো, জোক
৬. পর্ব: আর্থোপােভা (Arthropoda)
স্বভাব ও বাসস্থান:- এই পর্বটি প্রাণিজগতের সবচেয়ে বৃহত্তম পর্ব। এরা পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র সকল পরিবেশে বাস করতে সক্ষম। এদের বহু প্রজাতি অন্তঃপরজীবী ও বহিঃপরন্দ্রীয় হিসেবে বাস করে। বহু প্রাণী এলে, স্বাদু পানি ও সমুদ্র বাস করে। এ পর্বে অনেক প্রজাতির প্রাণী ডানার সাহায্যে উড়তে পারে।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• দেহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত ও সন্দিত উপাঙ্গ বিদ্যমান। • মাথায় একজোড়া পুঞ্জাঙ্কি ও অ্যান্টেনা থাকে। • নরম দেহ কাইটিন সমৃশ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত। • দেহের রক্তপূর্ণ গহবর হিমােসিল নামে পরিচিত।
উদাহরণ। প্রজাপতি, চিকি, আরশােল
৭.পর্ব: মলাস্কা (Mollusca)
স্বভাব ও বাসস্থান:- এই পর্বের প্রাণীদের গঠন, বাসস্থান ও সভাব বৈচিত্র্যপূর্ণ। এরা পৃথিবীর প্রায় সকল পরিবেশে বাস করে। প্রায় সবাই সামুদ্রিক এবং সাগরের বিভিন্ন স্তরে বাস করে। কিছু কিছু প্রজাতি পাহাড়ি অঞ্চলে, বনেজঙ্গলে ও স্বাদু পানিতে বাস করে।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• দেহ নরম। নরম দেহটি সাধারণত শক্ত খােলস দ্বারা আবৃত থাকে। • পেশিবহুল পা দিয়ে এরা চলাচল করে। • ফুসফুস বা ফুলকার সাহায্যে শ্বসনকার্য চালায়।
উদাহরণ: শামুক, ঝিনুক
৮. পর্ব : একাইনােডারমাটা (Echinodermata)
স্বভাব ও বাসস্থান:- এই পর্বের সকল প্রাণী সামুদ্রিক। পৃথিবীর সকল মহাসাগরে এবং সকল গভীরতায় এদের বসবাস করতে দেখা যায়। এদের শলে বা মিঠা পানিতে পাওয়া যায় না। এরা অধিকাংশ মুক্তজীবী।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• দেহত্বক ঝটাযুক্ত। • দেহ পাঁচটি সমান ভাগে বিভক্ত। • পানি সবহনতন্ত্র থাকে এবং নালিপদের সাহায্যে চলাচল করে। • পূর্ণাঙ্গ প্রাণীতে, অঙ্কীয় ও পৃষ্ঠদেশ নির্ণয় করা যায় কিনতু মাথা চিহ্নিত করা যায় না।
উদাহরণ: তারামাছ, সমুদ্র শশা
৯.পর্ব: কর্ডাটা (Chordata)
স্বভাব ও বাসস্থান : এরা পৃথিবীর সকল পরিবেশে বাস করে। এদের ভূ প্রজাতি ডাঙ্গায় বাস করে। জলচর কর্ডাটাদের মধ্যে বহু প্রজাতি স্বাদু পানিতে অথবা সমূদ্র বাস করে। বন্ধু প্রজাতি বৃক্ষবাসী, মরুবাসী, মেরুবাসী,গুহাবাসী ও খেচর। কর্ডাটা পর্বের বহু প্রাণী বহিঃপ্রজীবী হিসেবে অন্য প্রাণীর দেহে সংলগ্ন হয়ে জীবনযাপন করে।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• এই পন্ত্রে প্রাণীর সারা জীবন অথবা ভূণ অবস্থায় পৃষ্ঠীয়দেশ ব্রা নটোকর্ড অবস্থান করে। নটোকর্ড হলো একটা নরম,নমনীয়, দণ্ডাকার, দৃঢ় ও অখন্ডয়িত অঙ্গ। • পৃষ্ঠদেশে একক, ফাপ স্নায়ুর থাকে। • সারা জীবন অথবা জীবন চক্রের কোনাে এক পর্যায়ে পার্শ্বীয় গলবিলীয় ফুলকা ছিদ্র থাকে।
উদাহরণ : মানুষ, কুনােব্যাঙ,
কর্তাটা পর্বকে তিনটি উপপর্বে ভাগ করা যায়। যথা-
ক. ইউরােকর্ডাটা (Urochordata)
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• প্রাথমিক অবস্থায় ফুলকার, পৃষ্ঠীয় ফঁাপা স্নায়ুরজ্জ্ব থাকে। • শুধুমাত্র লার্ভা দশায় এদের লেজে নটোকর্ড থাকে।
উদাহরণ: Ascidia
খ. সেফালােকর্ডাটা (Cephalochordata)
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• সারাজীবনই এদের দেহে নটোকর্ডের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। • লেম্বলে মাছের মতী।
উদাহরণ: Branchiostoma
1. ভার্টিব্রাটা (Vertebrata)
এই উপ-পর্বের প্রাণীরাই মেরুদন্ডী প্রাণী হিসেবে পরিচিত। গঠন ও বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে মেরুদন্ডী প্রাণীদের ৭টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।
১. শ্রেণি- সাইক্লোস্টোমাটা (Cyclostomata)
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• লম্বাটে দেই। • মুথহিত্র গােলাকার এবং চোয়ালবিহীন। • এদের দেহে আঁইশ বা যুগ পাখনা অনুপস্থিত। • ফুলকাছিদ্রের সাহায্যে শ্বাস নেয়।
উদাহরণ : PetrolyZCN
২. শ্রেণি- কনড্রিকথিস (Chondrichthyes)
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• এ পর্বের সকল প্রাণী সমুদ্র বাস করে। • কঙ্কাল তরুণাস্থিময়। • দেহ প্ল্যাকয়েড আইশ দ্বারা আবৃত, মাথার দুই পাশে ৫-৭ জোড়া ফুলকাছিদ্র থাকে। • কানকো থাকে না।
উদাহরণ : হাঙ্গর, রাত মাছ, হাতুড়ি মাছ
৩. শ্রেণি- অস্টিকথিস (Osteichthyes)
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• অধিকাংশই স্বাদু পানির মাছ। • সেই সাইক্লোজে, গ্যানয়েড বা টিনয়েড ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত। • মাথার দুই পাশে চার জোড়া ফুলকা থাকে। ফুলকাগুলাে কানকো দিয়ে ঢাকা থাকে। ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
উদাহরণ: ইলিশ মাছ, সি-হর্স
৪.শ্রেণি- উভচর (Amphibla)
মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে যারা জীবনের প্রথম অবস্থায় সাধারণত পানিতে এবং মাছের মতাে বিশেষ ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় পরিণত বয়সের বাস করে তারাই উভচর।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• দেহত্বক আঁইশবিহীন। • ত্বক নরম, পাতলা, ভেজা ও গ্রম্থিযুক্ত। • শীতল রক্তের প্রাণী। • পানিতে ডিম পাড়ে। জীবনচক্রে সাধারণত ব্যাঙাচি দশা দেখা যায়।
উদাহরণ : সােনাব্যাঙ, কুনােব্যাঙ
৫.শ্রেণি- সরীসৃপ (Reptilin)
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• কুকের করে চলে। • চার পায়েই পাঁচটি করে নফুল আছে।
উদাহরণ: টিকটিকি, কুমির, সাপ
৬. শ্রেণি- পহ্মীকূল (Aves)
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• দে পালকে আবৃত। • দুটি ডানা, দুটি পা ও একটি চক্ষু আছে। • ফুসফুসের সাথে বায়ুথলি থাকায় সহজে উড়তে পারে। • উষ্ণ রকের প্রাণী। • হাড় শক্ত,হালকা ও ফাঁপা।
উদাহরণ:-দোয়েল,হাঁস
৭. শ্রেণি- (Mammalia)
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• দেহ লােমে আবৃত। • স্তন্যপায়ী প্রাণীরা সন্তান প্রসব করে। তবে এর ব্যতিক্রম আছে,যেমন- প্লাটিপাস। • উষ্ণ রক্তের প্রাণী •চোয়ালে বিঘ্নি ধরনের দাত থাকে। • শিশুরা মাতৃদুগ্ধ পান করে বড় হয়। • হৎপিন্ড চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।
উদাহরণ: মানুষ, উট, বাঘ

Bangla E-School

Author & Editor

Has laoreet percipitur ad. Vide interesset in mei, no his legimus verterem. Et nostrum imperdiet appellantur usu, mnesarchum referrentur id vim.

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন